পিশাচী সাজেদুর রহমান
পিশাচী সাজেদুর রহমান ত্রিভুবন মোহিনী উপদেবী কর্ণপিশাচী। রূপক ছবি। নেট থেকে সংগৃহিত । রাত্রি দ্বিতীয় প্রহর। হার হিম করা রাত। পুরোনো বাড়ির একটা সুন্দর কক্ষে তান্ত্রিক সারশূন্য নিঃশঙ্কচিত্ত। পিশাচ সাধনা-বিষয়ক একটি গ্রম্থ তার হাতে এসেছে। তিনি জয়েন উদ্দিনের সিদ্ধান্ত নির্ণয় করতে বসলেন। জন্মস্থান-লগ্ন ও কুষ্ঠী হিসেব করে অত্যন্ত নির্ভুল থিকুজীর হিসেব করলেন। পানি তত্ত্বের জাতককে অপরাধ প্রবণতাকে কী কল্যাণ কর পথে আনার যন্ত্রের খসড়া আঁকতে পেরে তিনি মুগ্ধ। তাঁর ইচ্ছা করছে এখনই মোক্ষম যন্ত্র আঁকলে কেমন হয় তা দেখতে। নিঃশঙ্ক চিত্ত গঞ্জিকা হাতে জানালার কাছে চেয়ার টেনে বসলেন। কল্কিতে লম্বা টান দিলেন। রাতের শেষ প্রহরে চতুর্দশীর চাঁদের ফিকে আলো। বাড়ির ভেতর থেকে একটা বিড়ালের বাচ্চা মানুষের বাচ্চার মত করে কাঁদছে! নিঃশঙ্ক চিত্ত হঠাৎ লক্ষ্য করলেন তার গা ছমছম করছে। যেন অশুভ কিছু তার জন্যে অপেক্ষা করছে। ভয়ঙ্কর কিছু। এমন সময় একটা অদ্ভুত ঘটনা ঘটল। নিঃশঙ্ক চিত্তেকে চমকে দিয়ে কে একজন মিষ্টি গলায় , তান্ত্রিক নিঃশঙ্ক চিত্ত...ও। নিঃশঙ্ক চিত্ত চারদিকে তাকিয়ে কাউকে দেখতে পেল না। ভয়ে সে অস্থির