পুণ্ড্রের পাঁচালী-১৪ (বাঙালির বীরত্ব গাঁথা- দ্বিতীয় পর্ব )
পুণ্ড্রের পাঁচালী-১৪ (বাঙালির বীরত্ব গাঁথা- দ্বিতীয় পর্ব ) সাজেদুর রহমান এক বিস্মৃত বীর মহাপদ্মনন্দন আলেকজান্ডার বিপাশা নদীর মহনায় এসে থমকে দাঁড়ালেন। কী আশ্চর্য, তিনি দেখলেন তাঁর চেয়ে কম্পক্ষে দশ বছরের এক তরুণ ঘোড়ার পিঠে বুক চেতিয়ে বসে আছে। তার পেছনে হাজার হাজার যোদ্ধা হস্তী। সেনানায়ক তরুণটিকে ঘিরে তীরন্দাজরা চক্রাকার ঘুরছে আর তীর ছুঁড়ছে। প্রতিপক্ষের ছোড়া ঝাঁকে ঝাঁকে ছুটে আসা তীর ঠেকান দুঃসাধ্য হয়েপরছে। তীরের ছুঁচাল ফলা সৈন্যদের বর্ম ভেদ করে আহত করছে। আঘাত মারাত্নক নাহলেও অপর পক্ষের মহড়া মহাবীরের বাহিনীর মনে এমন ভয়ের সঞ্চার করল যে, আলেকজান্ডার সামনে এগুতে সাহস পেলেন না। মহাবীরের জীবনে এটাই ছিল একমাত্র এবং অন্তিম পিছুটান। গ্রীক বীর আলেকজান্ডারের আক্রমণ প্রতিহত করেছেন যিনি সেই বীর সেনানায়কের নাম মহাপদ্মনন্দন । পুণ্ড্রের অধিপতি। নন্দ বংশের স্থপতি। এক বিস্মৃত বীর মহাপদ্মনন্দন , তবে সতত উচ্চারিত আরেক বীর বৃত্তাসুর যিনি নিজস্ব সংস্কৃত রক্ষায় আত্ম বলি দেন। খ্রিষ্ট পূর্ব এক হাজার থেকে খ্রিষ্টীয় এক হাজার এক হাজার সময়কালে এমন চার জন লড়াকু বাঙালির পরিচয় তু...