পুণ্ড্রের পাঁচালী-২৮ (তেজস্বিনী-৪র্থ পর্ব )
পুণ্ড্রের পাঁচালী-২৮ (তেজস্বিনী-৪র্থ পর্ব ) সাজেদুর রহমান মনসার কাহিনীর টানটান একটি অংশ হল লখিন্দরকে ভেলায় ভাসিয়ে দেয়া। অনিশ্চিত যাত্রা সন্ধ্যা হয়-হয় করছে। এখনো হয়নি। আকাশ মেঘলা। ঘরের ভেতর অন্ধকার। সন্ধ্যার সময় ঘর অন্ধকার রাখতে নেই। দ্রিমা লক্ষণ-অলক্ষণ বিচার করে চলে না। বিছানা ছেড়ে উঠতে তার আলসেমি লাগছে বলে বাতি জ্বালানো হয়নি। সে খানিকটা অস্বস্তির মধ্যে আছে। তার সামনে যে-তরুণী বসে আছে, অস্বস্তি তাকে নিয়েই। তরুণীর লম্বা কালো চুল অন্ধকারে চিকচিক করছিল, আর একটা সাদা শাড়ির জড়িয়ে ছিল বেঁকে থাকা শরীরটার ওপরে। এতক্ষণ সে দুই হাত আড় করে ভাঁজ করে হাঁটুর উপর মাথা গুজে বসে ছিল, কিছুক্ষণ আগে মুখ তুলেছে। দ্রিমা ধাক্কার মতো খেয়েছে। মেয়েটার মধ্যে একটা কিছু আছে । রূপের বাইরে অন্য কিছু। এমন রূপসী মেয়ে সে খুব বেশি দেখেছে বলে মনে করতে পারছে না। মেয়েটার চোখ দু’টি ছোট ছোট এবং বিশেষত্বহীন। গালের হাড় উঁচু হয়ে আছে, ছোট্ট কপাল কিন্তু কি অদ্ভুত দেখতে। কি মোহময়ী। আমার নাম হিমানী। হিমানী? জি আপা। সন্ধ্যায় ঘরে বাতি জালান নি? না দেই নি। কোন সমস্যা? হিমানী লজ্জিত ভঙ্গিতে চোখ...